আজ বৃহস্পতিবার ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিরোনাম:
মে দিবসে গৌরীপুরে ডেকোরেটর কারিগর শ্রমিক ইউনিয়নের বর্ণিল শোভাযাত্রা মহান মে দিবসে রাজ ওস্তাগার নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে গৌরীপুরে বর্ণিল শোভাযাত্রা বিশ্ব শ্রমিক দিবসে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে গৌরীপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মহান মে দিবসে গৌরীপুরে জাতীয় শ্রমিক লীগের বর্ণিল শোভাযাত্রা অতি বাম আর অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতে কাজ করছে: শেখ হাসিনা কৃষিবিদ ড. সামীউল আলম লিটনের আজ দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী গৌরীপুরে বিশ্ব নৃত্য দিবস পালিত গৌরীপুরে গার্মেন্ট কর্মীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ফাঁসাতে গিয়ে দেবর-ভাবী এখন জেল হাজতে! সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে সুসংহত করতে হবে-ধর্মমন্ত্রী ময়মনসিংহ – শেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ১৮কিঃ মিঃ সড়ক দূর্ঘটনা কবলিত পরিণত
||
  • প্রকাশিত সময় : ডিসেম্বর, ১০, ২০২০, ৭:১৩ পূর্বাহ্ণ




৯ ডিসেম্বর ঈশ্বরগঞ্জ মুক্ত দিবস

 

মোখলেছুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার
৯ ডিসেম্বর ঈশ্বরগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়েছিল। রক্ত ঝরা সেই উত্তাল দিনে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার দামাল ছেলেরা মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করার দিপ্ত শপথ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে।

নিজ থানা শত্রুমুক্ত করতে ১৬ অক্টোবর রাতে কাজী আলম, আলতাফ ও হাবিবুল্লাহ খান- এ তিন কোম্পানির মুক্তিযোদ্ধারা মাইজহাটি রেলওয়ে ব্রীজ ও টেলিফোন লাইন বিচ্ছিন্ন করে। বর্তমান ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে রামগোপালপুর সংলগ্ন কটিয়াপুরী ব্রীজটি বিধ্বস্ত করতে গেলে রাত সকাল হয়ে যায়।

পরে দিনের বেলায় আক্রমণ না করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক হাসিম উদ্দিন আহাম্মদ দিনের বেলাতেই থানা আক্রমণ করতে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করেন।

তিন কোম্পানির মুক্তিযোদ্ধারা পরে সড়ক পথে অগ্রসর হয়ে দত্তপাড়া শ্মশান ঘাটে এসে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তিন গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন যথাক্রমে কাজী হাসানুজ্জামান হিরো, হাবিবুর রহমান আকন্দ হলুদ ও মতিউর রহমান।

আক্রমণের রূপরেখা অনুযায়ী কোম্পানি কমান্ডার আব্দুস সালামের নির্দেশনায় মতিউর রহমান ও ছাত্তার গ্রুপ চরহোসেনপুর নলুয়াপাড়া জামে মসজিদের পাশ থেকে একযোগে আক্রমণ করবে। কিন্তু রূপরেখা অনুযায়ী থানা সদরে প্রবশ করতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ভেঙ্গে পড়ে চেইন অব কমান্ড। ব্যর্থ হয়ে পড়ে পুরো অভিযান। ফলে ওই দিন বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছু, মান্নান, আনোয়ার, তাহের, মতিউর, আঃ খালেক ও হাতেম আলী পাক বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন।

৮ ডিসেম্বর পুনরায় মুক্তিযোদ্ধারা সুসংগঠিত হয়ে থানায় আক্রমণ করে। আক্রমণের ভয়াবহতায় ভীত হয়ে পাকহানাদার বাহিনী গভীর রাতে থানা প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ৯ ডিসেম্বর, তাই ঈশ্বরগঞ্জবাসীর কাছে অত্যন্ত গর্বের ও অহংকারের দিন।

এ দিন থানা শহরে বেদনা বিধূর পরিস্থিতিতেও ফুটে উঠেছিল বিজয়ের মহা আনন্দ। ওই দিন শহীদদের রক্তস্নাত সকালে থানার বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধা ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা সম্মিলিতভাবে ঈশ্বরগঞ্জকে মুক্ত দিবস ঘোষণা করেন।




Comments are closed.

     এই বিভাগের আরও খবর




অনলাইন জরিপ

জাতিসংঘের বিশেষ দূত এলিস ক্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সব মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

View Results

Loading ... Loading ...

পুরনো সংখ্যার নিউজ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১